মাইক্রোওয়েভ ওভেন কত ধরণের? কোন ধরণের ওভেন ভালো? বেছে নিন আপনার ওভেন।
পৃথিবীর প্রথম মাইক্রোওয়েভ ওভেন বাজারে এসেছিলো আজ থেকে প্রায় ৭০ বছরের কিছু আগে (তথ্যসূত্র : https://en.wikipedia.org/wiki/Microwave_oven)। সেই থেকে শুরু, আজকের দিনে যে কোন রান্নাঘরের জন্য মাইক্রোওয়েভ ওভেন প্রায় নিত্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে।
প্রাথমিকভাবে মাইক্রোওয়েভ ওভেন শুধুমাত্র সাধারণ খাবার-দাবার তৈরি আর গরম করার কাজেই ব্যবহার হতো। কিন্তু এই গত ৭০ বছরে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ব্যবহারও বেড়েছে বহুগুণে। বর্তমান সময়ের আধুনিক মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলো প্রাথমিক প্রয়োজনগুলো মেটাবার পাশাপাশি গ্রিল, রোস্ট এবং বেক বা সেঁকে নেবার কাজও বেশ ভালোভাবেই করতে পারে।
অন্যান্য যে কোন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের মতই যে কোন মাইক্রোওয়েভ ওভেন সব ধরণের কাজ করতে পারে না। বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোওয়েভ ওভেন আছে। এত ধরনের ওভেনের ভেতর কোনটি আপনার প্রয়োজন সেটা আপনি যাতে সহজে বুঝতে পারেন সেজন্য আমরা আমাদের এ লেখাটি সাজিয়েছি।
বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোওয়েভ ওভেন
কাজের ধরন এবং সুযোগ-সুবিধার উপর ভিত্তি করে ৩ ধরনের মাইক্রোওয়েভ ওভেন আমরা সাধারণত বাজারে পেয়ে থাকি। সেগুলো হচ্ছে :
১। সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন
২। গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেন
৩। কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ ওভেন
১। সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন কি?
সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন হচ্ছে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের ওভেন। এ ধরনের ওভেন মূলত খাবার গরম করা, নডুলস জাতীয় খাবার রান্না এবং জমাট খাবার গলাবার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই মাইক্রোওয়েভ ওভেন তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ (ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক রেডিয়েশন) ব্যবহার করার মাধ্যমে খাবার রান্না বা গরম করে থাকে।
যে ৩ ধরনের ওভেন নিয়ে আজ আলোচনা করছি তার মধ্যে সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন হচ্ছে সবচেয়ে সস্তা। দামে কম ও ব্যবহার সহজ হবার কারনে এ ওভেনগুলোর ব্যবহারও সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
অন্যান্য সব মাইক্রোওয়েভ ওভেনের মতো এতেও একটি টার্নটেবিল থাকে। অধিকাংশ সময় সোলো মাইক্রোওয়েভকে শুধু মাইক্রোওয়েভও বলা হয়।
ব্যবহার : আগেও বলেছি সোলো মাইক্রওয়েভ ওভেনের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় মূলত খাবার-দাবার গরম করা, চা-কফি গরম করা ইত্যাদি কাজে অনেকে সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করে পাস্তা জাতীয় খাবারও রান্না করে থাকে। কিন্তু অনেক সময়ই এতে খাবারের পরিপূর্ণ স্বাদ পাওয়া যায় না। আপনি যদি নিয়মিত বিভিন্ন রান্নাবান্না করার জন্য মাইক্রোওয়েভ কিনতে চান তাহলে সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন না কিনে গ্রীল বা কনভেকশন ওভেন কেনাই উচিত হবে।
বিদ্যুৎ ব্যবহার : বাসাবাড়িতে ব্যবহারযোগ্য সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলো ৫৫০-১৫০০ ওয়াটের মধ্যে হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ১০০০ ওয়াটের ওভেনগুলো। যে ওভেনের ওয়াট যত বেশি সেটা তত দ্রুত খাবার রান্না বা গরম করতে পারে। ওভেনের দাম নির্ভর করে এর ধারণক্ষমতা এবং ওয়াটের ওপর। স্বাভাবিকভাবেই ওয়াট এবং ধারণক্ষমতা বেশি হলে দামও বেশি হয়ে থাকে।
দাম : বাংলাদেশে সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোর দাম সাধারণত ৬,০০০-৩০,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। বিদ্যুৎ খরচ, ওভেনের ধারণক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধা, ওভেনের বাহ্যিক গঠন, ব্র্যান্ড ওয়ারেন্টি ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে দাম কম বা বেশি হয়ে থাকে।
প্রায় সময়ই দেখা যায়, বিদ্যুৎের ব্যবহার আর ওভেনের ধারণক্ষমতা একে অন্যের সাথে সম্পর্কিত। অর্থাৎ, ওভেনের ধারণক্ষমতা বেশি হলে, বিদ্যুৎ খরচও বেশি হয়। ২০ লিটারের ওভেনগুলো সাধারণত ৭০০ ওয়াট থেকে শুরু হয়ে লিটার অর্থাৎ ধারণক্ষমতা বাড়ার সাথে সাথে ওয়াট বেড়ে ১৫০০ ওয়াট পর্যন্ত চলে যায়।
আবার কি দিয়ে ওভেনের বাহিরের গঠন তৈরি তার উপরও দাম কিছু কম-বেশি হয়ে থাকে। প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম আর স্টেইনলেস স্টীল দিয়ে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের বাহ্যিক গঠন তৈরি করা হয়। এদের মধ্যে প্লাস্টিকের দাম সবচেয়ে কম এবং স্টেইনলেস স্টীলের দাম সবচেয়ে বেশি।
ধারণক্ষমতা : আপনার ওভেনে রান্না করার জায়গাটুকুই হচ্ছে এর ধারণক্ষমতা। বাংলাদেশে লিটারের মাধ্যমে ওভেনের ধারণক্ষমতা পরিমাপ করা হয়। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০-৩৫ লিটারের সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন পাওয়া যায়।
সুযোগ-সুবিধা : একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের ওভেন হওয়ার কারণে আমরা এ ওভেনগুলোতে খুব বেশি সুযোগ-সুবিধা পাই না। সোলো ওভেনগুলোতে কিছু নির্দিষ্ট বাটন দেয়া থাকে চটপট কিছু কাজ যেমন : খাবার গরম করা, পাস্তা, নডুলস ইত্যাদি বানানো, ফ্রিজের জমে যাওয়া খাবার গরম করা ইত্যাদি করা যায়।
এছাড়া আজকাল কিছু ওভেনে চাইল্ড লক অপশনটি থাকে যাতে বাচ্চারা গরম খাবার দিয়ে হাত পুড়িয়ে না ফেলে।
আপনার সুবিধার জন্য বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কিছু সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেনের নাম এখানে দেয়া হলো :
১। Samsung M/W Oven 23 solo MS23K3513AK/D2
২। Samsung solo microwave oven MW73AD
৩। Sharp Microwave oven R-25C1-S
৪। Singer Microwave oven SMWD20SOLP
৫। Singer Microwave oven SMW30AMSOLP
২। গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেন কি?
গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেন সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন থেকে কিছুটা উন্নত। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এ ওভেনে যে কোন ধরণের গ্রীল করতে পারবেন, অতিরিক্ত কিছু ছাড়াই। সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন যা করতে পারে তার সবকিছুই আপনি করতে পারেন গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেনে। এর পাশাপাশি এতে পিজ্জা, এমনকি মাছ-মাংসও রান্না করতে পারেন।
এ ওভেনে এক ধরণের গ্রীল হিটার থাকে, যার মাধ্যমে এ ওভেনে খাবার গ্রীল বা রোস্ট করতে পারবেন সহজেই। মূলত এ সুবিধার জন্যই এর দাম সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন থেকে বেশি হয়ে থাকে।
ব্যবহার : সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন যে ধরণের কাজে বা রান্নায় আপনি ব্যবহার করতে পারেন গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেনেও সেই একই ধরণের কাজ বা রান্না করতে পারবেন। এর পাশাপাশি স্টেক, পিজ্জা, মাছ-মাংস গ্রীল করতে পারবেন, ঠিক সেভাবে একটি সাধারণ গ্রীলে মাছ-মাংস গ্রীল করে থাকেন।
তবে এ ধরণের ওভেনে গ্রীল বা রোস্ট সহজে করা গেলেও খুব ভালো বেকিং করার আশা না করাই ভালো। কারণ গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেনে কোন ফ্যান না থাকার কারণে তাপ চারিদিকে সমভাবে ছড়ায় না, যা ভালোভাবে বেক করার জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ।
বিদ্যুৎ ব্যবহার : আমাদের দেশে যে সব গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেন পাওয়া যায় যেগুলো সাধারণত ১০০০ ওয়াটের মধ্যেই হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই, বেশি ওয়াটের ওভেন হলে খবার দ্রুত রান্না করা বা বেশি খাবার একসাথে রান্নার সুযোগ পাবেন। তাই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী চাইলে কিছুটা বেশি ওয়াটের ওভেন নিতে পারেন।
দাম : সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেনের চেয়ে গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সুযোগ সুবিধা কিছুটা বেশি, তাই এ ধরণের ওভেনের দামও কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড মিলিয়ে এ ধরণের ওভেনের দাম ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে দাম সাধারণত ১৫,০০০ টাকার উপরে ওঠে না।
সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেনের মতো একই কারণেই যেমন, সুযোগ-সুবিধা, বাহ্যিক গঠন, ব্র্যান্ড আর ওয়ারেন্টির উপর নির্ভর করেই দাম কম বা বেশি হয়ে থাকে।
ধারণক্ষমতা : বাংলাদেশে গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোর ধারণক্ষমতা সাধারণত সর্বনিম্ন ২০ লিটার থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লিটারের মধ্যে হয়ে থাকে।
সুযোগ-সুবিধা : সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যে সুবিধাগুলো রয়েছে সে সুবিধাগুলোর পাশাপাশি কিছু অপশন বা অতিরিক্ত সুবিধা গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে পাওয়া যায়, যেমন – কম্বো গ্রীল, পাওয়ার গ্রীল, ইকো মোড ইত্যাদি।
কম্বো গ্রীল অপশনটি ব্যবহার করলে আপনি রান্নার সময় একই সাথে গ্রীল ও মাইক্রোওয়েভ এই দুটো সুবিধাই ব্যবহার করতে পারবেন। এ পদ্ধতিতে রান্না করলে রান্না হতে তুলনামূলক কম সময় লাগে।
এছাড়া রয়েছে পাওয়ার গ্রীল সুবিধা। পাওয়ার গ্রীলের মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র ওভেনের গ্রীল সুবিধাটও ব্যবহার করতে পারবেন। কিছু রান্না আছে যেগুলোতে শুধুমাত্র গ্রীল করেই রান্না হয়। সেসব ক্ষেত্রে অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এ অপশনটি ব্যবহার করলে রান্না শেষ হতে সাধারণের চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগে।
আপনার সুবিধার জন্য বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কিছু গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেনের নাম এখানে দেয়া হলো :
১। Sharp Grill Microwave Oven R-72A1-SM-V
২। Singer Microwave Oven SRMO-SMW-25GCHLP
৩। Singer Microwave Oven SRMO-SMW-G30G6LP
৩। কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ ওভেন কি?
কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ ওভেন হচ্ছে একের ভিতর তিন। পরিস্কারভাবে বললে এই ধরণের ওভেনে আপনি একটি সোলো মাইক্রোওভেন ওভেন, একটি গ্রীল মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং একটি কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সুবিধা একসাথে পাবেন। আগে যে দুধরণের ওভেনের কথা উল্লেখ করেছি, সে ওভেনগুলোর মূল সুবিধার পাশাপাশি আপনি এ ওভেনে বেক করতে পারবেন অর্থাৎ রুটি, কেক, বিস্কুট ইত্যাদি তৈরি করতে পারবেন সহজেই।
কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভিতরে একটি ফ্যান/ব্লোয়ার দেয়া থাকে। এ ফ্যানটি গরম বাতাস ভিতরে সমানভাবে সবদিকে ছড়াতে সাহায্য করে। এ সুবিধাটিই মূলত এ ধরণের ওভেনকে অন্যান্য ওভেন থেকে আলাদা করে ফেলে। এভাবে গরম বাতাস চারদিকে ভালোভাবে ছড়ানোর কারণেই এ ওভেনে আপনি রুটি,কেক,বিস্কুট ইত্যাদি তৈরি করতে পারবেন। এর পাশাপাশি গরম করা, গ্রীল করা ইত্যাদি সুবিধা তো থাকছেই।
ব্যবহার : এ মাইক্রোওয়েভ ওভেনে পপকর্ণ ভাজা, পিজ্জা বানানো থেকে কেক,রুটি ইত্যাদি বানাতে পারবেন। আর এসব কিছুর পাশাপাশি গ্রীল করার সুবিধার কথা তো আগেই উল্লেখ করেছি।
হোটেলগুলোতে এ ধরণের ওভেনের ব্যবহার অনেক বেশি হয়ে থাকে। তবে আজকাল বাসাবাড়িতে অনেক শৌখিন রাধুনীরাও এ ধরণের ওভেন ব্যবহার করে থাকেন।
বিদ্যুৎ ব্যবহার : প্রথমেই বলেছি, কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ ওভেনে থাকে সমানভাবে তাপ ছড়িয়ে দেবার জন্য একটি ফ্যান। এই ফ্যান ওভেনের প্রতিটি কোনায় সহজে তাপ ছড়িয়ে দেয় তাই এ ওভেনে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কম হয়।
সোলো কিংবা গ্রীল ওভেনের মতো এর রান্না করার ক্ষমতা তাই সরাসরি বিদ্যুৎ খরচের সাথে সম্পর্কিত নয়। এ ওভেনে তাই রান্না করার স্বাধীনতা অনেকগুণ বাড়লেও সে হারে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে না। বাংলাদেশের বাজারে কনভেকশন ওভেনগুলোর বিদ্যুৎ খরচ সাধারণত ১৭৫০ থেকে ২৯০০ ওয়াট পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে আমার দেখায় ওয়ার্লপুলের ওভেনগুলোর বিদ্যুৎ খরচ অন্যান্য ব্রান্ডগুলোর তুলনায় সবচেয়ে কম।
দাম : স্বাভাবিকভাবেই সুযোগ-সুবিধা বেশি হবার কারণে কনভেকশন ওভেনগুলোর দামও সোলো এবং গ্রীল ওভেনগুলোর চেয়ে কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড মিলিয়ে বাজারে এ ধরণের ওভেনের দাম ১৩,৫০০ টাকা থেকে ৪২,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। ব্র্যান্ড, ওয়ারেন্টি, ফিনিশিং ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়েই এ দাম কম বা বেশি হয়ে থাকে।
ধারণক্ষমতা : বাংলাদেশে যে কনভেকশন ওভেনগুলো পাওয়া যায় তাদের ধারণক্ষমতা ২৫ লিটার থেকে ৩০ লিটারের মধ্যে হয়ে থাকে।
সুযোগ-সুবিধা : কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সুযোগ-সুবিধার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত যে তিন ধরণের মডেল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটা হচ্ছে সবচেয়ে আধুনিক এবং উন্নত-প্রযুক্তি সমৃদ্ধ।
এতে ব্যবহার করা প্রযুক্তিগুলোএ ওভেনকে করেছে সবচেয়ে বেশি সুবিধাসমৃদ্ধ। সোলো এবং গ্রীল ওভেনে আলাদাভাবে যা করতে পারবেন, এ ওভেনে উপভোগ করতে পারবেন তারচেয়ে বেশি।
সাধারণভাবে খাবার গরম করার পাশাপাশি রুটি, কেক, বিস্কুট, পিজ্জা, পাস্তা সহ অনেক ধরণের খাবার তৈরি করতে পারবেন আপনার ঘরে এ ধরণের একটি ওভেন থাকলে।
চলুন দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কিছু কনভেকশন ওভেনের নাম :
১। Samsung Microwave Oven CE76JD
২। Samsung Microwave Oven 28L MC28H5023AK/D2
৩। Sharp Microwave Oven R-92A0
৪। Singer Microwave Oven SMW30GC2NLP
সবশেষে বলতে চাই, আপনার জন্য কোন ধরণের ওভেন প্রয়োজন এর নির্দিষ্ট কোন সূত্র নেই। উপরের লেখায় আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্ন ধরণের ওভেনের ব্যবহার, সুবিধা-অসুবিধাসহ দামের ধারণা দিতে, যাতে ওভেন কেনার সময় সিদ্ধান্ত নিতে আপনার সুবিধা হয়।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভকামনা সবাইকে।