আপনার পছন্দের টিভির যত্নে ৫ টি টিপস্
আজকাল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অনেক আকর্ষনীয় ডিজাইনের LED টিভি বাজারে এসেছে। সত্যি কথা বলতে দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে এমন। কিন্তু খুব পছন্দ করে আমাদের শখের টিভিটা ঘরে আনলেও দেখা যায় যত্নের অভাবে বা কিছু সাধারণ বিষয় মেনে না চলার কারণে টিভিটির আয়ু কমে যায় বেশ খানিকটা। না হলে কিছু দিন পর পরই বিভিন্ন রকম সমস্যা শুরু হয়।
সাধারণত আপনি চট করে টিভির অবস্থা কেমন সেটা জানতে পারেন, একটি বিষয় লক্ষ্য করলে আর সেটা হচ্ছে “টিভির স্ক্রিণের উজ্জলতা“। সাধারণভাবে আমরা বলতে পারি, যখন স্ক্রিণের উজ্জলতা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়, তখন টিভির আয়ু প্রায় শেষ। যদিও, এটা আসলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে, তবুও গড়ে একেকটা টিভির আয়ু থাকে ৬০,০০০ – ১,০০,০০০ ঘন্টা। কিন্তু আপনি যদি কিছু টিপস অনুসরন করেন তাহলে যে টিভির আয়ু থাকবে আপনার ৫ বছর, সে টিভি আপনি অনায়াসে ১০ বছর ও ব্যবহার করতে পারবেন । অতএব, টিভির উজ্জলতা ঠিক রাখার জন্য কিছু টিপস্ মেনে চলতে পারেন :
১। ব্যবহার না করলে টিভি বন্ধ রাখুন : মাঝে মাঝেই এমন দেখা যায়, আমরা টিভি না দেখলেও চালিয়ে রাখি। এর কারণে একই সাথে আমাদের বিদ্যুৎ বিল বাড়তে থাকে, অন্যদিকে টিভির আয়ুও কমতে থাকে। সেজন্য যখন টিভি চলবে না তখন টিভি বন্ধ রাখুন।
২। অতিরিক্ত উজ্জলতা দিয়ে টিভি না দেখা : অতিরিক্ত উজ্জলতা দিয়ে টিভি দেখলে আপনার টিভির আয়ু কমে যেতে পারে প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ ঘন্টা পর্যন্ত। ঘরে আলোর পরিমানের উপর নির্ভর করে স্ক্রিণের উজ্জলতা ঠিক করা উচিত। ঘরে আলো কম থাকলে উজ্জলতা বাড়াতে পারেন, আর ঘরে পর্যাপ্ত আলো থাকলে উজ্জলতা না বাড়ানোই ভালো।
৩। প্রয়োজন অনুযায়ী “কনট্রান্স্ট” ঠিক করুন : টিভির সবচেয়ে উজ্জল এবং সবচেয়ে কম উজ্জল রংয়ের পার্থক্যই হচ্ছে আপনার টিভির “কনট্রাস্ট”। কনট্রাস্ট যত বেশি থাকে তত বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়, এবং টিভির আয়ু কমে আসে। প্রাথমিকভাবে টিভিতে “Dynamic” অথবা “Vivid” কনট্রাস্ট দেয়া থাকে, তবে আপনি “standard” অথবা “movie” করে নিতে পারেন টিভির আয়ু বাড়াতে।
৪। ভোল্টেজের উঠানামা থেকে বাঁচতে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন : ভোল্টেজের ওঠানামা থেকে বাঁচতে বাসায় ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা বেশ জরুরী একটি বিষয়। একটি ভালো ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার শুধুমাত্র আপনার টিভির জন্য প্রয়োজনীয় না, বরং বাসার অন্যান্য ইলেকট্রনিকস জিনিস, যেমন : এসি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন সবকিছুকেই তুলনামূলক নিরাপদ রাখবে।
৫। টিভির চারিদিকে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন : যেহেতু টিভি ইলেকট্রিসিটি দিয়ে চলছে তাই এর যন্ত্রাংশ কিছুটা গরম হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু গরম বাতাসটা বের হয়ে যাবার সুযোগ না পেলে সেটা যেমন টিভির জন্য খারাপ, তেমনি আপনার জন্যও যথেষ্ঠ বিপদজনক হতে পারে। সবসময় চেষ্টা করা উচিত যেন, টিভির বাতাস বের হবার জায়গাগুলোর চারপাশ দিয়ে কমপক্ষে ৪ ইঞ্চি জায়গা থাকে।
আশা করি এ টিপসগুলোর দিকে খেয়াল করলে আপনার পছন্দের টিভিটি দীর্ঘদিন উপভোগ করতে পারবেন।